লেবু খাওয়ার উপকারিতা : নমস্কার বন্ধুরা, আশাকরি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আমরা আজকে মানুষের জীবনে লেবু খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে আপনাদের সমানে উপস্থিত হয়েছি। আমাদের প্রকাশিত স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্ত প্রতিবেদন গুলি পড়তে এখানে ক্লিক করুন >> স্বাস্থ্য
বৈজ্ঞানিক মতে, লেবুর রসে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড। লেবুর রস পেটের সব রস ধ্বংস করে, রক্ত শুদ্ধ করে। লেবুতে আছে প্রোটিন, চর্বি, প্রাকৃতিক লবন, শর্করা, ক্যালশিয়াম,পটাশিয়াম, ফসফরাস আর লোহা।
লেবুতে ভিটামিন C বেশি মাত্রায় আছে। অতএব স্কার্ভি ও রক্তপিত্ত রোগে খুব উপকারী। দাঁত থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করে। এতে ভিটামিন B ও আছে।
লেবু খাওয়ার উপকারিতা
১. সকাল বেলা খাওয়ার আগে খালিপেটে একটা পাতিলেবুর রস গরম জলে মিশিয়ে খেলে লিভারের দোষ ও পিত্তের দোষ সারে।
২. এক পেয়ালা কড়া চায়ে একটা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেলে মাথা ধরা সাড়ে ও মন চাঙ্গা হয়ে উঠে।
৩. পাতিলেবুর রস বহুমূত্র রোগে উপকারী।
৪. স্কার্ভি ও অস্থিসংক্রান্ত রোগে টাটকা লেবুর রসই মহৌষধ।
৫. কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস জলে মিশিয়ে পান করলে চোখের জ্যোতি বাড়ে।
৬. শীতকালে হাত পা জ্বালা করলে বা ত্বক ফেটে গেলে গ্লিসারিনের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মাখলে উপকার হয়। লেবু খাওয়ার উপকারিতা
৭. বিছে বা বিষাক্ত পোকা যে জায়গায় কামড়েছে লেবু ঘষলে সেই জায়গায় জ্বালা কমে যায়।
৮. শরীরের কোন জায়গায় কেটে গেলে এক টুকরো কাপড় লেবুর রসে ভিজিয়ে র=জড়িয়ে রাখলে রক্তপড়া বন্ধ হয়।
৯. লেবু টক হলেও অম্লজনক নয়। অল্প পরিমাণে লেবুর রস খেলে অম্লত্ব নষ্ঠ হয়ে যায় এবং ক্ষারগুন বৃদ্ধি পায়।
লেবুর প্রয়োগ:
১. দু চা চামচ লেবুর রস ও দু চা চামচ আদার রস নিয়ে তাতে একটু চিনি মিশিয়ে খেলে বদহজমজনিত সব রকমের পেট ব্যথা দূর হয়।
২. লেবু আর পেঁয়াজের রস ঠান্ডা জলে খেলে বদহজমের জন্য যে পেটের উপকার হয় – এমনকী কলেরাতেও উপকার পাওয়া যায়।
৩. ঘুমোনোর আগে গরম জলে লেবুর রস গুলে খেলে সর্দি সারে। কিছুদিন ধরে এইভাবে খেলে পুরোনো সর্দিও সেরে যায়।
৪. অল্প লেবুর রস মধুর সঙ্গে খেলে সারে। হাঁপানির আক্রমণও তৎক্ষণাৎ থেমে যাওয়ায় আরাম পাওয়া যায়। লেবু খাওয়ার উপকারিতা
৫. লেবুর রস আঙুলে লাগিয়ে দাঁতের মাড়িতে মালিশ করলে দাঁত থেকে রক্ত-পড়া বন্ধ হয়।
৬. লেবুর রসে চিনি ও জল মিশিয়ে এক মাস ধরে রাত্তিরে শোয়ার আগে খেলে বহু পুরোনো কোষ্ঠকাঠিন্য সেরে গিয়ে শৌচশুদ্ধি হয়।
৭. একটি পাকা পাতিলেবুর রসে অল্প মধু মিশিয়ে চাটলে শরীরের স্থূলতা কমে ও শরীরে আসে।
৮. পাকা পাতিলেবুর রসে অল্প অল্প গরম জল মিশিয়ে আহারের পর সঙ্গে সঙ্গেই পান করে নিলে এক দু-মাসের মেদ বৃদ্ধি কমে যায় এবং শরীরের বেড়ে যাওয়া মেদও ঝরে যায়।
৯. লেবুর রসে সর্ষের তেল মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে ছেঁকে শিশিতে ভরে রাখুন। কানে দু-ফোঁটা করে দিলে -পুঁজ পড়া, চুলকানি, কানের ব্যথা এমনকী বধিরতা উপশম হবে।
১০. লেবু আর সর্ষের তেল সমপরিমানে মাথায় লাগিয়ে তারপর টক দই দিয়ে ঘষে মাথা ধুয়ে ফেললে – মাথায় ছোট ছোট ফুস্কুড়ি হওয়া ও চামড়া শক্ত হয়ে যাওয়ায় উপকার পাওয়া যাবে।
১১. লেবুর রস মাথায় ভাল করে ঘষে নিয়ে চুল ধুয়ে ফেললে দূর হয় এবং মাথার চুলকানি সাড়ে।
১২. এক বালতি গরম বা ঠান্ডা জ্বলে একটি লেবুর রস মিশিয়ে সে জলে স্নান করলে চামড়া নরম ও উজ্জ্বল হয়।
আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ এই পোস্টটি পড়ার জন্য। আমাদের এই লেবু খাওয়ার উপকারিতা গুলি ভালো লাগলে দয়াকরে প্রিয়জনদের সাথে Share করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ। Like Our Facebbok Page