Bangla Shayari – স্বামী অখন্ডানন্দের অমৃত বাণী নমস্কার, বন্ধুরা আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমরা আজকে স্বামী অখন্ডানন্দের 25 টি অমৃত বাণী নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। এই অমৃত বাণী কথা গুলি ভালো লাগলে বন্ধু ও প্রিয়জনদের সঙ্গে অবশ্যই Share করবেন।
স্বামী অখন্ডানন্দের অমৃত বাণী
[1] ব্রহ্মচর্যের অসীম বল। ব্রহ্মচর্য অক্ষুন্ন থাকলে সমস্ত জগৎ তার বিরুদ্ধে কিছু করতে পারে না। [2] স্ত্রী-পুত্র দু-দিনের সুখের জন্য , ভোগ ক্ষণস্থায়ী। তাই কখনো কখনো নির্জন বাস খুব ভালো। তাহলে মন সংযত হয়। [3] ঠাকুর আমাদের রেখে গেলেন কাজের জন্য। সাধন-ভজন, নিঃসম্বল ভ্রমন -সবই তিনি করিয়েছেন। শেষে এইখানে এই সেবা করাচ্ছেন। স্বামী অখন্ডানন্দের অমৃত বাণী [4] নিজের দিকে যত তুমি মন দেবে, তত তুমি ছোট হয়ে যাবে। আর পরকে যত তুমি আত্মবৎ মনে করবে তত তুমি বড় হবে। এই রকম যত করবে তত তোমার ‘আমিটা’ জগতে ছড়িয়ে পড়বে। তবে তো আত্মজ্ঞান লাভ হবে। [5] সব-সময় ধৈর্য্য-ক্ষমা চাই। রাগ ত্যাগ করবে। যদি খুব রাগের কিছু হয়, নির্বিকার থাকবে, কিছুতেই রাগবে না। রাগে শীঘ্র অধঃপতন হয়। [6] সেবা করতে হলে খুব ধৈর্য্য থাকা চাই, নইলে সে সেবা করতে পারে না। যার পূর্বজন্মে পুন্য থাকে সেই সদগুরুর সঙ্গলাভ করে এবং ঠিক ঠিক সেবা করতে পারে। [7] জপ সব সময় করা চলে মনে মনে। ঠাকুরের কথায় আছে – পানি উড়ে যেতে যেতে ভগবানের নাম করছে। স্বামী অখন্ডানন্দের অমৃত বাণী [8] যে যত বুদ্ধিমান, তার তত রাগ কম হয়। যে যত বোকা হবে, তার রাগ তত বেশি হবে। রাগ করা একদম ভুলে যাও। রাগের উপর রাগ করে বলো – খবরদার , বেটা মাথা তুলতে পারবি না। [9] যখন যে অপরাধ করবে, তৎক্ষণাৎ তা বলে দেবে। লুকিয়ে রাখবে না, এতে ভারী খারাপ হয়। অপরাধ হলে মুখের সামনে বলে দিলে তখনই তার মীমাংসা হয়ে যায়। [10] টাকাই ভগবানকে ভুলিয়ে দেয়। ভগবান নির্ভরতাই আত্মনির্ভরতা, টাকার নির্ভরতা আত্মনির্ভরতা নয়। [11] সাহস নেই, শক্তি নেই, বিশ্বাস নেই – সর্বদা ভয়, যদি না পারি। এজন্য তো পিছিয়ে যাও। আসুক না বিফলতা, বলুক না লোকে মন্দ, তুমি প্রভুর নাম কাজ করে যাও সাহস, বিশ্বাস, নির্ভরতা নিয়ে। [12] সর্বদা ভগবানের স্মরণ-মনন, তাঁর উপর একান্ত নির্ভর -এই তো সাধন, এই তো শেষ কথা। রামের ভ্রম-বালি বধ, শোক-মোহ-সীতা বিলাপ। তাই ঠাকুর বলতেন ‘রাম বারো আনা’ কিন্তু কৃষ্ণ ষোলো আনা।
স্বামী অখন্ডানন্দের অমৃত বাণী কথা
[13] সাধু সঙ্গ খুব দরকার। স্বামীজী বলতেন, ‘সাধুসঙ্গ থেকেই হরিকথা, ভগবানের কথা, দয়া, দিনতা, উপকার সব। সাধুসঙ্গ থেকেই সব। ‘ সাধুসঙ্গ থেকেই প্রথম ধর্মভাব জাগে। [14] তুমি ধন্য -দীক্ষার পরেই দক্ষিনেশ্বর, জয়রামমাটি, কামারপুকুর ঘুরে এলে। মহাতীর্থ।তুমি ধন্য। স্বামী অখন্ডানন্দের অমৃত বাণী [15] ধ্যান করতে করতে মন যদি ইষ্টদেবতার প্রতি একাগ্র না হতে চায়, তো মনে করবে -রাশি রাশি ফুল দিয়ে তাঁকে পূজা করছ, মালা পরিয়ে দিচ্ছ, থালা থালা বিশ্বপত্র, পুষ্প, চন্দন, নৈবদ্য সব দিচ্ছ। এইরকম ভাবতে ভাবতে ধ্যান আপনি জমে যাবে। [16] আসল কথা, নিজিকে বিলিয়ে দেবে। পরের জন্য প্রাণ বিসর্জন করতে কুন্ঠিত হবে না। আর শ্রদ্ধা সহকারে সমস্ত কাজ করবে। শ্রদ্ধা না হলে কিছুই হবে না। শ্রদ্ধা মানুষকে অমর করে। শ্রদ্ধা থেকে প্রেম, করুনা, ভালোবাসা, দয়া -আত্মজ্ঞান পর্যন্ত লাভ হয়, আত্মার সাক্ষাৎকার হয়। ঠাকুরের উপর নির্ভর করে পরে থাক, সব হয়ে যাবে। [17] কোনো লোকের সম্পর্কে ভালো বা মন্দ মত প্রকাশ করার সময় তাকে প্রত্যক্ষ দেখে যে রকম তোমার মনে হয় তাই বলবে। লোকের মুখে শুনে একজনের উপর খারাপ ব্যবহার রাখবে না। যতটুকু দেখবে তার বেশি বলবে না। [18] খুব সরল হবে, কুটিল হবে না। যত সরল হবে তত হৃদয় প্রশস্ত হবে। খোলাখুলি ব্যবহার খুব ভালো। সর্বদা শুদ্ধসত্ত্ব ও পবিত্র থাকবার চেষ্টা করবে। [19] হৃদয় দরকার, হৃদয় না থাকলে চোখ বুজে বসে থাকলে কিছুই হবে না। দশজনের জন্য প্রাণ কাঁদা চাই। দশজনের সুখে সুখী, দুঃখে দুঃখী হওয়া চাই, তবে ঠাকুরকে পাবে। যদি কারো হৃদয় আছে দেখতেন তাহলে স্বামীজী তার হাজার দোষ ক্ষমা করতেন। [20] নিজের দোষ আগে দেখতে হয়। নিজের সিন্ধু পরিমান গুনকে বিন্দু পরিমান দেখবে এবং নিজের বিন্দু পরিমান দোষকে সিন্ধু পরিমান দেখবে। আর অনুতাপ করবে। পরের বিন্দু পরিমান গুনকে সিন্দু পরিমান দেখবে এবং সিন্ধু পরিমান দোষকে বিন্দু পরিমান দেখবে, তবে তো ঠিক ঠিক চরিত্রগঠন করতে পারবে। [21] যারা ভগবানকে যথার্থ ডাকে, তাদের চেহারা চালচলনই আলাদা হয়। তাদের দেখলে আনন্দ হয়। তাদের মুখ সর্বদা প্রফুল্ল থাকে, হৃদয় পবিত্র থাকে, মন রাগ-দ্বেষশূন্য হয়, তারা সর্বদা সচ্চিদানন্দ সাগরে ডুবে থাকতে চায়। তারা ভালো মন্দ এক দেখে। ভালোও তাদের কাছে ভালো মন্দও তাদের কাছে ভালো। [22] নিজেকে দশজনের মধ্যে বিলিয়ে দাও। এই যে আমরা জগতে সাড়া তুলেছি, এ কিসের জন্য? আমরা যে দশের সুখের সুখী, দশের দুঃখে দুঃখী। আমরা যে কে তা খুঁজে পাই না। [23] কর্ম ছাড়া গতি নেই, খুব কাজ করে যাবে। গন্ডির মধ্যে বদ্ধ থাকবে না, কাজ করে যাবে, আর ভাববে -কিছুই তো করলাম না, তা হলে আত্মার শক্তি বাড়বে। [24] আমরা পরের জন্য হৃদয়টাকে ছিঁড়ে দিতে পারি। আমাদের কাছে থেকে যদি কারো এটুকু হৃদয় না হল, তো আর কি হবে। স্বামী অখন্ডানন্দের অমৃত বাণী [25] বিশ্রাম কি জান? এক কাজ থেকে আর কাজে লাগা। জেমি, তুমি মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে পরিশ্রান্ত। সেটা বন্ধ করে খানিকটা ছুতোর কাজ করলে, আবার সে কাজ থেকে আর এক কাজে লাগলে। এমনি করলে কাজ একঘেয়ে মনে হয় না, কাজ ভালো লাগে।আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ এই পোস্টটি পড়ার জন্য। আমাদের এই স্বামী অখন্ডানন্দের অমৃত বাণী গুলি ভালো লাগলে দয়াকরে প্রিয়জনদের সাথে Share করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ। Like Our Facebbok Page