Best 25 টি স্বামী বিজ্ঞানানন্দের অমৃত বাণী

স্বামী বিজ্ঞানানন্দের অমৃত বাণী

Bangla Shayari – স্বামী বিজ্ঞানানন্দের অমৃত বাণী নমস্কার, বন্ধুরা আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমরা আজকে স্বামী বিজ্ঞানানন্দের 25 টি অমৃত বাণী নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। এই অমৃত বাণী কথা গুলি ভালো লাগলে বন্ধু ও প্রিয়জনদের সঙ্গে অবশ্যই Share করবেন।


স্বামী বিজ্ঞানানন্দের অমৃত বাণী


[1] আজকাল আর স্বপ্ন দেখি না, এখন দেখি যেন তিনি স্বয়ং প্রকাশিত হয়ে আছেন , তাই চুপচাপ পরে থাকি।

[2] সকলের মঙ্গল হোক, জগতের মঙ্গল হোক, বিশ্বব্রহ্মান্ডের মঙ্গল হোক – এ শুভেচ্ছা সদাসর্বদা রেখো। স্বামী বিজ্ঞানানন্দের অমৃত বাণী

[3] যেমন চিন্তা তেমন কর্ম হয়ে থাকে। প্রেমপূর্ণ চিন্তা যেমন আত্মবিকাশের সহায়ক, তেমনি রাগদ্বেষপূর্ন চিন্তা আত্ম-সঙ্কোচনের সহায়ক।

[4] কখনও কুচিন্তা করো না। কুচিন্তা এলে কাতর প্রাণে ঠাকুরের নাম জপ করবে। দেখবে সব কুচিন্তা পালিয়ে যাবে।

[5] তিনি তো কাছেই আছেন, তিনি তো প্রকাশ হয়ে আছেনই। আমরা স্ব-ইচ্ছায় তাঁকে দেখছি না।

[6] যে যত পবিত্র হবে, ঠাকুর তাঁর কাছে তত বেশি প্রকাশিত হবেন।

[7] ভগবানের কথা বেশি শুনে কী হবে? যেটুকু শুনবে তাই জীবনে প্রতিফলিত করার চেষ্টা করা চাই। স্বামী বিজ্ঞানানন্দের অমৃত বাণী

[8] পবিত্রতা, সত্যপরায়ণতা ও সততার উপর জীবন গঠন করবে। ধর্ম জিনিসটা বিচার বা পান্ডিত্যমূলক নয়, তা হল অনুভূতিমূলক।

[9] সংসারে সব কাজ করতে হবে, কিন্তু মনটি রাখতে হবে সর্বক্ষণ ভগবানের দিকে। এরূপ করতে পারলে তখন আর কর-জপ বা মালা-জপ -এর প্রয়োজন হয় না। এভাবে সর্বক্ষণ জপ করার চেষ্টা করা উচিত।

[10] ধ্যান হোক বা নাই হোক ধ্যানের চেষ্টা ছেড়ো না। জপ ধ্যানে পরিণত হয়, ধ্যান সমাধিতে। গভীর ধ্যানেই দিব্য দর্শনাদি হয়।

[11] খুব বিশ্বাস চাই, ধৈর্য্য চাই, ভরসা চাই। ক্রমে সব হয়ে যাবে। তাঁর নামে জপ করে যাও, শান্তি পাবে। স্বামী বিজ্ঞানানন্দের অমৃত বাণী

[12] বাসনা যত অনিষ্ঠের মূল। বাসনা যতক্ষন আছে, ততক্ষন সন্তোষ ধন পাওয়া যায় না। বাসনার নাশ হলে তবে নিস্তার।

স্বামী বিজ্ঞানানন্দের অমৃত বাণী কথা

[13] জগৎটাকে যদি কল্পনা বলে মনে করে নেওয়া যায় তাহলে কত আনন্দ। আর যখনই এই পৃথিবীকে সত্য বলে মনে করলে অমনি কষ্ঠ।

[14] সত্য পথে চলবে আর কারো অনিষ্ট করবে না, তাহলেই ভগবান কোলে টেনে নেবেন।

[15] যে মন যত শুদ্ধ, সে অন্যের চিন্তাধারা তত ভালো ধরতে পারে।

[16] মনে যত পবিত্রতা আসবে, অমনি ভূমা আনন্দের আস্বাদ পাবে। আনন্দ মানে এই নয় যে দুঃখ আসবে না। সংসারে দুঃখ ও সুখে বিচলিত না হয়ে থাকা।

[17] সবাই বলে মন স্থির হয় না, মন স্থির হয় না। ‘প্রবেশ নিষেধ’ লিখে দাও না। দুশ্চিন্তাগুলিকে মনে আসতে না দিলেই হল।

[18] ভগবানকে জানা ও বোঝা খুব অল্পসংখক লোকের পক্ষেই সম্ভব। অন্তর শুদ্ধ না হলে হয় না। খুব সাবধানে থাকতে হবে। একটা খারাপ ভাব এলে শরীরের সমস্ত রক্ত দূষিত হয়ে যায়।

[19] হৃদয়ের কাজ হচ্ছে ভালোবাসা আর মস্তিষ্কের কাজ হচ্ছে বিচার – সদস্য বিচার। এই প্রেম ও বিচারকে এক করতে হবে। ভগবান লাভের জন্য দুটিই চাই।

[20] যখন মনটা সংসার ও বিষয় থেকে আলাদা হয়ে শুদ্ধসত্ত্ব ও পবিত্র হয়, তখনই সেই মনে ভগবদ্জ্যোতি প্রতিফলিত হয়ে ওঠে। যার এই প্রকার ভগবদ্দর্শন হয়, তার কাছে জগৎসংসার আন্তর্হিত হয়ে যায়।

[21] ধ্যানে মনকে উর্দ্ধে তুলে নিতে হয় – বাহ্যেন্দ্রিয়, আন্তরিন্দ্রিয়, মন, বুদ্ধি, অহংকার – এইভাবে পরে পরে মনকে নিয়ে লয় করতে হবে আত্মবস্তুকে।

[22] কম, ক্রোধ এসব রিপু দমন করতে হলে ঠাকুরকে স্মরণ করতে হয়, মাকে স্মরণ করতে হয়। তাহলেই মন থেকে ওসব হীনভাবে চলে যায়। তাঁর দর্শন ঠিক ঠিক হলেই রিপুদমন হয়। খুব নাম কর দাদা, কিছু ভয় নেই।

[23] ত্যাগ না করলে ধর্ম জীবনে কিছুই হবার আশা নেই। সবকিছু ত্যাগ করার চেষ্টা করতে হয়।

[24] ভগবানের জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করতে আমাদের মধ্যে খুব অল্প লোকেই প্রস্তুতু। কারন ঈশ্বর প্রদত্ত অনন্ত বৈভব অপেক্ষা আমরা বেশি ভালোবাসি, জাগতিক ধনসম্পদকে।

[25] ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য যে জীবন, সে তো মৃত্যুতুল্য। আর যে মৃত্যুর দ্বারা বহুর কল্যাণ হয়, তাই প্রকৃত জীবন। যে যত মহান তার অহং তত বিরাট।

আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ এই পোস্টটি পড়ার জন্য। আমাদের এই স্বামী বিজ্ঞানানন্দের অমৃত বাণী গুলি ভালো লাগলে দয়াকরে প্রিয়জনদের সাথে Share করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ। Like Our Facebbok Page

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *