Best 25 টি স্বামী ব্রহ্মানন্দের অমৃত বাণী

স্বামী ব্রহ্মানন্দের অমৃত বাণী

Bangla Shayari – নমস্কার, বন্ধুরা আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমরা আজকে স্বামী ব্রহ্মানন্দের 25 টি অমৃত বাণী নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। এই অমৃত বাণী কথা গুলি ভালো লাগলে বন্ধু ও প্রিয়জনদের সঙ্গে অবশ্যই Share করবেন।

স্বামী ব্রহ্মানন্দের অমৃত বাণী

[1] ঠাকুরের ঊপর ভালাবাসা এলেই সেবাধর্ম ঠিক ঠিক হবে। জপ-ধ্যান করবে। কাজের সঙ্গে জপ-ধ্যানও চাই – তাঁর উপর ভাব ভালোবাসা আনবার জন্য।

[2] স্বামীজীর Complete works যত্ন করে পড়লে আর একরাশ শাস্ত্রপাঠের প্রয়োজন হয় না। শাস্ত্রের নির্যাস স্বামীজী প্রাঞ্জলভাবে তুলে ধরেছেন। তাঁর রচনাবলীতে সব রয়েছে।

[3] তোমরা ধ্যান-জপ কর, করে হয়তো সামান্য একটু উন্নতি করলে, তারপর আবার সব শুকনো হয়ে যায়। মনে হয় যেন তোমারা দরজা এঁটে বন্ধ করে দিয়েছ। এ সময়ে প্রয়োজন অসীম ধৈর্যের সঙ্গে তোমাদের সাধন-ভজন চালিয়ে যাওয়া। এরূপ চালিয়ে গেলে একসময় দেখতে পাবে যে বদ্ধ দুয়ার খুলে গেছে। তখন সে কী আনন্দ ধর্মজীবনে এরকম অনেক ব্যথা অতিক্রম করে অগ্রসর হতে হয়।

[4] তুমি যখন ধ্যান-ভজন করবে, মনে করবে ভগবান তোমার সম্মুখে পুরান-বর্ণিত কল্পতরুর মতো দাঁড়িয়ে আছেন। স্বামী ব্রহ্মানন্দের অমৃত বাণী

[5] ধ্যান করতে করতে মনে করবে তুমি সাগরের মাঝখানে রয়েছে, চারিদিকে পর্বতমান বিশাল ঢেউয়ের রাশি। আর ঈশ্বর তোমার সামনেই আছেন, তোমাকেই রক্ষা করার জন্য। 

[6] এক কাজ করবে, সব সময় ঈশ্বরের স্মরণ-মনন করবে। আমিও তাই করি। 

[7] দেখ, শরীর-মন সংসারকে দিলে, সংসার সব নষ্ট করে দেয়। ভগবান কে দিলে -স্বাস্থ্য, চেহারা, মন — ভালো অবস্থায় রেখে দেন। 

[8] সিদ্ধাই পাওয়া সহজ। মনের পবিত্রতা লাভ করা শক্ত। মনকে পবিত্র করাই আসল। 

[9] পড়াশোনা করবার এমন অভ্যাস করবে যাতে কোনোদিন পড়াশোনা না করলে খারাপ লাগবে। মন উচ্চবস্থায় না থাকলে অন্তত পড়াশোনা নিয়ে থাকবে। তার নিচে যাবে না। 

[10] বেশ ভালো করে চিন্তা করতে শেখ। তখন দেখবে এত ভাব আসবে যে তার চোট সামলানো দায়। স্বামী ব্রহ্মানন্দের অমৃত বাণী

[11] (সাধুদের প্রতি) তোমরা সাধন কি করবে। ঠাকুর-স্বামীজীর ভাব দ্বারে দ্বারে প্রচার কর। তাঁদের কাজ কর। দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভগবানের নাম শোনাও। এটাই মহাসাধন। 

[12] এরকম ভেবো না। মহানিশায় জপ করো। পুরশ্চরণ করো। ভিতরটা আপনিই খুলে যাবে।

অমৃত বাণী কথা

[13] কাজের জন্য সময় পাওয়া যায় না, এইরূপ মনে করা ভুল। মনের চঞ্চলতার জন্য ঐরূপ মনে হয়। ‘Work and worship’ একসঙ্গে করে মনকে তৈরি করতে হয়। 

[14] কর্ম ঠাকুর – স্বামীজীর —এরই ভাব নিয়ে করলে কোন বন্ধন তো হবেই না, অধিকিন্তু তার through দিয়ে spiritual, moral, intellectual এবং physical সব রকম উন্নতি হবে। তাদের পাঁয়ে আত্মসমর্পন কর। শরীর-মন সব তাদের পায়ে দিয়ে দাও। তাদের গোলাম হয়ে যাও। স্বামী ব্রহ্মানন্দের অমৃত বাণী

[15] ঠাকুর যুগবতররূপে এসেছিলেন। যুগাবতার য্খন আসেন, তখন শক্তির বিকাশ হয়। তখন সাধারনের পক্ষে ভগবান লাভ করা সহজসাধ্য হয়। সামান্য একটু খাটালেই, একটু সাধন-ভজন করলেই মানুষের চৈতন্য হয়। 

[16] দেখুন মাস্টারমশাই, ঠাকুর এবার আসে জীবলোকে এবং শিবলোকে একটি সেতু তৈরি করেছেন। এখন দেখুন তো সাধারনের পক্ষে ভগবান লাভ করা কত সহজসাধ্য হয়েছে। ….তোমরা এ সুবর্ন সুযোগ হারিও না, উঠে পরে লেগে যাও। এই সুযোগ হারালে পরে খুব পরিতাপ করতে হবে। তিনি ছিলেন সত্যের প্রতিমূর্তি — সেই আদর্শে জীবন গড়ে তোল। যারা হাসপাতালে কাজ করছ, তারাও নিষ্কাম কর্ম অভ্যাসের দ্বারা সেই লক্ষে পৌঁছুতে ও সত্য বস্তু লাভ করতে পারবে। 

[17] তিনি ধরা ছোঁয়ার বাইরে। আমি তোমাদের জন্য প্রার্থনা করছি, তোমারও তাঁর কাছে প্রার্থনা কর, তিনিই বুঝিয়ে দেবেন। স্বামী ব্রহ্মানন্দের অমৃত বাণী

[18] এরকম করতে পারলে তো ভালো, তা কজনে পারে? যেই একান্তই ইচ্ছা হয়, তবে দু-চার-ছ মাস এভাবে কাটতে পারে। তোমাদের শরীর-মন তপস্যার নয়। কর্ম ও উপাসনা একসঙ্গে অভ্যাস করতে হবে। 

[19] তোমারদের কি মাথা খারাপ হয়েছে? তিনি সত্যি আছেন, তা নইলে আমরা আজীবন কী নিয়ে পরে আছি? স্বামী ব্রহ্মানন্দের অমৃত বাণী

[20] দেখ, রামলাল দাদা, তুমি জান না, এই সব ছেলে সৎ হবার জন্য কত চেষ্টা করছে। অন্তরে যারা সৎ হবার যত চেষ্টা করে, সাধন করে, বাইরের জগৎ থেকে তাদের তত বেশি ধাক্কা আসে। 

[21] দেখ, গুরুকৃপায় তোমাদের সব হয়ে যাবে। তবে এ জীবনে যদি তাঁকে প্রত্যক্ষভাবে সম্ভোগ করতে চাও, তবে দীনহীন কাঙাল হয়ে, অধিকংশন হয়ে তাঁর কাছে প্রার্থনা করতে হবে। 

[22] দেখ —একটু চেপেচুপে থাক। ঠাকুর যুগাবতার হয়ে এসেছেন, তাঁর নামে কত মঠ-মন্দির হবে, কত টাকা পয়সা আসবে, তার ইয়াত্তা নেই। তোদের যদি ত্যাগ সংযম না থাকে, তাহলে তোরা আসল জিনিস হারিয়ে ফেলবি। 

[23] যখন যুগাবতার আসেন, প্রবল আধ্যাত্মিক  হয়, তাতেই মানুষের সহজে চৈতন্যের উদয় হয়।  স্বামী ব্রহ্মানন্দের অমৃত বাণী

[24] মঠের যা কিছু দেখছ, সব ঠাকুরের। মঠাধক্ষ্যের অনুমতি ছাড়া কোনো কিছুই নিজের মতে করো না, ঠাকুর শুধু মন্দিরে বসে নেই। তাঁরাই সব, তিনি নিজে সব দিতে পারেন। 

[25] যখন কাজ করবে তখন ঠাকুরের নাম জপ করবে। ঠাকুরের জন্য জন্য মালা করবার সময় স্মরণ করে তাঁর নাম করে মালা গাঁথবে। 

আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ এই পোস্টটি পড়ার জন্য। আমাদের এই স্বামী ব্রহ্মানন্দের অমৃত বাণী গুলি ভালো লাগলে দয়াকরে প্রিয়জনদের সাথে Share করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ। Like Our Facebbok Page

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *