Best 25 টি স্বামী প্রেমানন্দের অমৃত বাণী

স্বামী প্রেমানন্দের অমৃত বাণী

Bangla Shayari – স্বামী প্রেমানন্দের অমৃত বাণী নমস্কার, বন্ধুরা আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমরা আজকে স্বামী প্রেমানন্দের 25 টি অমৃত বাণী নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। এই অমৃত বাণী কথা গুলি ভালো লাগলে বন্ধু ও প্রিয়জনদের সঙ্গে অবশ্যই Share করবেন।


স্বামী প্রেমানন্দের অমৃত বাণী


[1] সংসারে ভয়ই হচ্ছে মৃত্যু। মৃত্যুর হাত এড়াতে হলে নির্ভীক হতে হবে। ভয় দূর করতে হবে। এই ভয় দূর করার উপায় হচ্ছে ভগবানকে আপনার জন মনে করে তাঁর করা।

[2] কেউ সুখী কেউ দুঃখী।, কারন যার যার কর্মফল। কর্মফল কেবল জন্মের কেন হবে? জন্মজন্মান্তরেও বটে। এ জন্মই যে জন্মজন্মান্তরের ফলস্বরূপ।

[3] স্বামীজী বলে গেছেন, এখন কথা বন্ধ হোক,কাজ কথা বলুক। এখন দরকার নীরব কবির। সমস্ত জীবনটাই কবিত্বময় করতে হবে।

[4] সহ্যগুনের মতো আর গুন্ নেই। শ, ষ, স -যে সয় সে রয়। যে সয় না সে নাশ হয়।

[5] কারো দোষ দেখতে নেই। দোষ দেখবে নিজের। ঠাকুর তাঁর ভক্তদের কখনই অপরের দোষ চর্চা করতে দিতেন না। স্বামী প্রেমানন্দের অমৃত বাণী

[6] একটু ভালোবাসা শেখা উচিত আমাদের। প্রীতিই সার, প্রেমই পদার্থ। শুধু স্বার্থ নিয়ে বসে থাকলে কি হবে? অপরকে ভালোবাসতে শিখতে হবে। ঠাকুরের কৃপায় সকলের মঙ্গল হোক।

[7] মান, অপমান, অহংভাবে ভাসিয়ে দিয়ে – কাজে নেমে গেলে তবেই কাজে কৃতকার্য হওয়া যায়। আর কাজেতে স্বার্থপরতায় ও কর্তৃত্বের ভাব ঠুকছে কি না এটি লক্ষ রাখতে হবে। যা করবে ঠাকুরের দাস হয়ে ও কর্মের ফল তাঁর চরণে সমর্পন করে দিতে হবে।

[8] মানুষ আত্মা ছাড়া আর কিছু নয় – সে যদি তার প্রকৃত স্বরূপ জানতে পারে তবে তার সব বন্ধন, সব পরাধীনতা মুছে যায়। সে পরিপূর্ন মানবে রূপান্তরিত হবে, মুক্ত হবে। ভারতবাসীরা হীনবীর্য ও আত্মবিস্বাহীন হয়ে পড়লেও পুরুষসিংহ বিবেকানন্দ তাদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য এ পুণ্যভূমি ভারতে জন্মগ্রহন করেছেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও স্বামীজীর বাণী অনুসরণ করলেই ভারতের সর্বাঙ্গীন কল্যাণ হবে।

[9] প্রেম, সত্যানুরাগ এবং শিববিজ্ঞানে জীবসেবার আদর্শের অনুসরণেই ভবিষ্যৎ ভারতবর্ষ গড়ে উঠবে। এ আদর্শের অনুসরণেই ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতির সম্মত পদ্ধতি। এর ব্যতিক্রম হলে দেশের বা জাতির কল্যাণ কখনোও হবে না।

[10] সময় এলে ভগবান নিজেই এসে আমাদের খেলাঘর ভেঙে দিয়ে নিজের কাছে টেনে নেন। স্বামী প্রেমানন্দের অমৃত বাণী

[11] জেলার তলায় যদি ক্ষুদ্র ছিদ্র থাকে, তবে যতই জাল রাখ না কেন, ঐ পাত্রে কিছুই থাকবে না। এই সব ছিদ্র বন্ধ করার মশলা হচ্ছে ভগবানের গ্রহণ, শ্রবণ, মনন, পাঠ, পূজা, প্রার্থনা।

[12] ক্রোধ, অভিমান -এসব অবিদ্যার ঐশর্য্য। এদের সর্বতোভাবে ত্যাগ করবার চেষ্টার নাম সাধন, ভজন, যোগ, বৈরাগ্য।

স্বামী প্রেমানন্দের অমৃত বাণী কথা

[13] অপরের দোষ দেখতে দেখতে আমাদের ভিতর সেই দোষ ধীরে ধীরে এসে পড়ে। আমরা তো লোকের দোষ ধরতে কিংবা দোষ শোধরাতে আসিনি, এসেছি কেবল শিখতে। সর্বদা পরীক্ষা করব কি শিখলুম।

[14] ভিতর-বাহির এক করতে হয়, সত্যনিষ্ঠ ও সরল হতে হয়, তাহলেই তার কৃপা হয়।

[15] ভালো লোকের সঙ্গে মিত্রতা, দুঃখীর প্রতি করুনা, পরের ভালো দেখলে আনন্দ, দুস্থের ব্যবহারের প্রতি উপেক্ষা যে করতে পারে সে তো মহাপুরুষ।

[16] যে শত্রু তার দুঃখ দেখলে একটা ক্রুর হাসি ফুটে উঠে অথবা শত্রুকে কোনো বিপজ্জনক কাজ করতে দেখলে উৎসাহ দেওয়া, নীরবে থাকা বা গোপনে আনন্দ করা, এর নাম গুপ্ত হিংসা।

[17] একজন লোক কোন ভালো কাজ করছে কিন্তু সে যদি ভিন্ন দলের লোক হয়, এমনি মনটা খারাপ হয়ে পড়ে, এও ঐ গুপ্ত হিংসা। স্বামী প্রেমানন্দের অমৃত বাণী

[18] কাউকে দোষ করতে দেখলে বা শুনলে নিজের দুর্বলতা বা অক্ষমতার কথা মনে পরে না , ক্রোধ আসে উপস্থিত হয় এবং আমরা বিচারকের আসনে গ্রহণ করে বসি।

[19] শ্রীরামকৃষ্ণ বলতেন – “যতক্ষন সুতো থেকে একটি ফেঁসো বেড়িয়ে থাকবে, তখন সুতোটিকে ছুঁচের ফুটো দিয়ে গলানো যাবে না।” সাংসারিক কামনা বাসনা বার পূর্ব অভ্যাস সেই রকম।

[20] যে স্ত্রী-সম্ভোগের বাসনা ত্যাগ করেছে শুধু বাইরে নয়, মনেও সে সংসারের সব সুখ ত্যাগ করেছে। কেবল সেই লোকই প্রকৃত ত্যাগী। সন্যাসীর গাইরিক বসনেই ত্যাগ হয় না, মাছ-মাংস ত্যাগেই ত্যাগ হয় না।

[21] তোমরা কি জান, মায়ার জাল কি দিয়ে তৈরি? ইন্দ্রিয়ভোগ্য বস্তু, কাম-কাঞ্চন, নাম-যশ, অহংকার, দম্ভ, স্বর্থপরতা আরো কত কি? এইসব দিয়ে মায়া মানুষের মনকে বাঁধে। এই জাল থেকে বেরিয়ে এস, এমনি মন সোজা ঈশরের দিকে ছুটবে।

[22] সত্য এই যে, সম্পূর্ণ নির্বাসন না হলে ঈশ্বরানুভূতি সম্ভব নয়। রামপ্রসাদ গাইতেন – “তোমারা সব বাসনা পুড়িয়ে ফেল, সেই ভস্মই তোমাকে শুদ্ধ করে তুলবে”

[23] ধর্মকথা শুনতে যারা আসনে তারা কেউই ধর্ম নিয়ে যেতে পারেন না, কারন তারা উপযুক্ত পাত্র নন। ফুটো কলসিতে যেমন জল নেওয়া যায় না, অসংযমী ব্যক্তিও তেমন ধর্ম ধারণ করতে পারে না। অধিকাংশ মানুষই ফুটো কলসি। তাদের নয়টা দরজা খোলা, নয়টায় ফুটো। যা শোনে ঐ ফুটো দিয়ে বেরিয়ে যায়। স্বামী প্রেমানন্দের অমৃত বাণী

[24] মন যে চঞ্চল এতে কোন সন্দেহ নেই, একে বশে আনা কঠিন। একটু একটু করে অক্লান্ত ধৈর্য্য সহায়ে মানুষ সবরকম মানসিক বিক্ষেপ থেকে নিজেকে অবশ্যই মুক্ত করতে পারে।

[25] আমাদের উৎসাহকে দৃঢ় করতে হলে – তিনটি জিনিস দরকার – সাধুসঙ্গ, ইচ্ছানুরাগ ও চারিত্রিক পবিত্রতা।

আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ এই পোস্টটি পড়ার জন্য। আমাদের এই স্বামী প্রেমানন্দের অমৃত বাণী গুলি ভালো লাগলে দয়াকরে প্রিয়জনদের সাথে Share করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ। Like Our Facebbok Page

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *