Best 25 টি স্বামী রামকৃষ্ণানন্দের অমৃত বাণী

স্বামী রামকৃষ্ণানন্দের অমৃত বাণী

Bangla Shayari – স্বামী রামকৃষ্ণানন্দের অমৃত বাণী নমস্কার, বন্ধুরা আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমরা আজকে স্বামী রামকৃষ্ণানন্দের 25 টি অমৃত বাণী নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। এই অমৃত বাণী কথা গুলি ভালো লাগলে বন্ধু ও প্রিয়জনদের সঙ্গে অবশ্যই Share করবেন।


স্বামী রামকৃষ্ণানন্দের অমৃত বাণী


[1] যে মহাশক্তি অসীম, অগম্য, তিনিই এই যুগে ভক্তগণের কাছে সুলভ হবার জন্যে রামকৃষ্ণরূপে অবতীর্ন। শ্রীরামকৃষ্ণের চিত্রকে চিত্র মনে কর না, তা তাঁর জীবন্ত মূর্তি। তিনি প্রেম ও দয়ার অবতার। যিনি ঠাকুরের দেহধারন করেছিলেন, তিনি মা কালী ভিন্ন অন্য্ কেউ নন।

[2] তুমি ঈশ্বরের প্রকৃত শ্রেষ্ঠ মন্দির। বাইরের মন্দিরগুলি হৃদয়-মন্দিরের স্মারক মাত্র।

[3] সাধুসেবা করলেই ঈশ্বরসেবা হয়।

[4] আমাদের মধ্যে যে পশুত্ত্ব আছে, ওর বিনাশকেই নরবলি বলে। উচ্চতর আদর্শে উপনীত হওয়ার জন্যে নিয়ত চেষ্টাই প্রকৃত মানুষের বিশেষত্ব। খাদ্য ও আশ্রয় পেলে পশু আর তার স্থান ত্যাগ করতে চায় না।

[5] তিনি সর্বমঙ্গলময়। যদি তিনি দুঃখকষ্ট দেন, তবে নিশ্চয়ই জানবে, এ দুঃখকষ্টের মধ্যেও তাঁর দয়া নিহিত আছে। যাকে আমরা দুঃখ বলি, বাস্তবিক তা দুঃখ নয় – দীক্ষা। ক্ষণিক সুখের লোভে তাঁকে ভুলে যাই ব্লেম তিনি কৃপা করে দুঃখরূপ দীক্ষা দিয়ে তাকে মনে করিয়ে দেন। স্বামী রামকৃষ্ণানন্দের অমৃত বাণী

[6] আত্মদর্শী পুরুষের কাছে ই জগৎ অসার। কারন, আপনার অন্তরে, তিনি অফুরন্ত সম্পদ, অনন্ত জীবন, অপার জ্ঞান ও অশেষ আনন্দ লাভ করেছে। দেব-মানবগণই আধ্যাত্মিকতার আবিস্কর্তা।

[7] শরণাগতি অভ্যাস কর। পুরুস্কারের অসামর্থ্য উপলব্ধ না হলে ঈশ্বর লাভ হয় না। সম্পূর্ণ আত্মত্যাগ ব্যতীত ঈশ্বর দর্শন অসম্ভব। আত্মসমর্পন ষোল আনা হলে মুক্তি অবধারিত। নিঃশেষে আত্মসমর্পন ও মুক্তি একই কথা।

[8] সন্দেহ করা ও চিন্তা করা একার্থবোধক। কতক্ষন তুমি চিন্তা করতে পার? যতক্ষন তোমার মনে সন্দেহ আছে। যখনই তুমি কোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসবে তখনই তুমি সেই বিষয়ের চিন্তা হতে বিরত হবে। যতই চিন্তা করবে, ততই সন্দেহ বাড়বে।

[9] স্বপ্নকে তুমি যেমন অসত্য বলে জান, জীবনের এই ক্ষুদ্র পরিসরকে ঠিক তেমনি স্বপ্নেরই দেখ। স্বপ্ন যেমন অলীক, এই জীবনও সেই রকম নশ্বর। যে কোন মুহূর্তে মৃত্যুর আহ্বান আসতে পারে।

[10] ভক্তির শক্তিতে আমিত্বের বিনাশ হয়। ভক্তিই ভক্তের প্রাণ। ঈশ্বর আত্মসমর্পনই ভক্তি। স্বামী রামকৃষ্ণানন্দের অমৃত বাণী

[11] এক অর্থে সকল মানুষই প্রকারান্তরে ভগবানকে ভালোবাসে, কারন সকলের অনন্ত জীবন, অনন্ত জ্ঞান ও অনন্ত আনন্দ চায় এবং ঈশ্বরেই এই ত্রিরত্নের আকর।

[12] যেখানে বিজ্ঞানের শেষ, সেখানেই ধর্মের আরম্ভ। বহির্জগতে সংগ্রামের নাম বিজ্ঞান, আর অন্তর্জগতে সংগ্রামের নাম ধর্ম।

স্বামী রামকৃষ্ণানন্দের অমৃত বাণী কথা

[13] কর্তব্য করে যাও, উদ্বিগ হয়ো না ও ভবিষ্যতের জন্য ভেব না। উদ্বিগ্ন হলেই বুঝতে হবে যে তুমি ঈশ্বরে বিশ্বাসী নও, তিনি যে তোমার ভার নিয়েছেন তা মানো না। তুমি নাস্তিক হয়ে গেছ।

[14] যদি ঈশ্বরে তোমার প্রকৃত বিশ্বাস থাকে, তাহলে তুমি কখনো উদ্বিগ্ন হতে পার না।

[15] সুখ ও মানুষের বাইরে কোথাও নেই, সুখ তার ভেতরেই আছে। স্বামী রামকৃষ্ণানন্দের অমৃত বাণী

[16] অনেক বই পড়লে মানুষের মন অন্যের চিন্তায় ভরে উঠে। ফলে নিজের চিন্তাশক্তি ফেলে। বই পড়া যদি কারোর চিন্তায় সহায় হয়, তাহলে তা নিশ্চয়ই ভালো। কিন্তু যদি তা কারও চিন্তাশক্তির ক্ষতি করে তাহলে তা সম্পূর্ণভাবে বর্জনীয়।

[17] স্বামীজিকে দেখা আর ঠাকুরকে দেখা একই কথা। উভয়ে অন্তরে অভিন্ন; দেহমাত্র ভিন্ন।

[18] তাঁর দয়া দুইভাবে অনুভব করতে হয়। অনুকূল দয়া ও প্রতিকূল দয়া। যখন জাগতিক ঐশ্চর্য দিয়ে খেলাঘর সাজিয়ে দেন , তখন সেটি অনুকূল দয়া। যখন সেগুলি একে একে কেড়ে নিয়ে চোখের চলে ভাসিয়ে তাঁর দিকে টেনে নেন, তখন হচ্ছে তাঁর প্রতিকূল দয়া।

[20] অনন্ত প্রেম কে বিভক্ত করা যায় না বলে তাতে পক্ষপাতিত্ব থাকতে পারে না।

[21] বর্তমান কালে পন্ডিত হতে হলে লোকে বইয়ের আশ্রয় নেন। যিনি জট বেশি বই পড়া অভ্যাস করতে পেরেছেন, তিনি তত পান্ডিত্য বলে গণ্য হয়েছেন। সেইজন্য পান্ডিত্যের অভিমান মানুষের মনকে সংসারে আবদ্ধ রাখে।

[22] বন্ধন সাংসারিক লোকের একমাত্র যায় ও সুখের কারন। কিন্তু ঠাকুর বন্ধনের কথা ভয় পেতেন। তিনি কখনও বন্ধনকে হৃদয়ে আশ্রয় দেননি। স্বামী রামকৃষ্ণানন্দের অমৃত বাণী

[23] স্বাধীনতা সুখের মূল। স্বাধীনতাই মানুষকে অমিততেজসম্পন্ন করে থাকে। শ্রীরামকৃষ্ণ এই স্বাধীনতা ধন কখনও নষ্ঠ করেননি।

[24] স্যাকরা যেমন একতাল সোনাকে গয়নার আকার দেয়, তেমনি তিনি শিষ্যদের সমানভাবে গড়তেন তাদের মনে যে ছাপ দিতেন তা কোন দিন মুছে যেত না।

আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ এই পোস্টটি পড়ার জন্য। আমাদের এই স্বামী রামকৃষ্ণানন্দের অমৃত বাণী গুলি ভালো লাগলে দয়াকরে প্রিয়জনদের সাথে Share করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ। Like Our Facebbok Page


Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *