Bangla Shayari – স্বামী সারদানন্দের অমৃত বাণী নমস্কার, বন্ধুরা আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমরা আজকে স্বামী সারদানন্দের 25 টি অমৃত বাণী নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। এই অমৃত বাণী কথা গুলি ভালো লাগলে বন্ধু ও প্রিয়জনদের সঙ্গে অবশ্যই Share করবেন।
স্বামী সারদানন্দের অমৃত বাণী
[1] যারা ভগবান লাভ করতে চায় তারা সম্পূর্ণরূপে আত্মনির্ভরশীল হবে। সম্পূর্ণরূপে ভগবান-নির্ভরতাই আত্মনির্ভরতা। প্রানপনে তাঁকেই ভালোবাসতে হবে। [2] প্রত্যহ এই চিন্তা করতে হবে – আমি শরীর নই, মন নই, আমি তাঁর দাস, অংশ, শুদ্ধ আত্মা। আমি সাক্ষী মাত্র। ভালো হোক মন্দ হোক, যে কোন ভাব হোক স্থায়ী হবে না – আসছে, আবার চলে যাবে। সুতরাং সাক্ষীস্বরূপ আত্মারই বিষয় চিন্তা করবে। [3] যতক্ষন “আমি ও আমার” বোধ আছে, শরীর-মনের বোধ আছে, ততক্ষন এ জগতেরও সত্যতা অবশ্যই আছে। যখন এসবের পারে যাওয়া যায় কেবল তখনই জগতের সত্তাকে অস্বীকার করতে পারা যায়, তার আগে না। [4] মন কি সহজে স্থির হয়? প্রবৃত্তি দমন করবার জন্য খাটতে হবে। গীতাতেও তো অভ্যাস ও বৈরাগ্যের কথাই বলেছেন। স্বামী সারদানন্দের অমৃত বাণী [5] তিনটি পথ আছে – বিশ্বাস করে চলা, অবিশ্বাস করে ছেড়ে দেওয়া, আর খোলা মন নিয়ে সত্যের অনুসন্ধান করা। [6] যে যত জপতপ প্রার্থনা করবে সে ততই পাবে – না করলে কে পায়? সর্বদা বিচার করবে, তা হলে কিরকম উন্নতি হচ্ছে না হচ্ছে নিজেই বুঝতে পারবে। [7] গুরুকৃপায় সাধক শেষকালে বুঝতে পারে, সে জীবনে ভালোমন্দ যা কিছু করেছে সবই তাকে এগিয়ে দিয়েছি -কেবল এগিয়ে দিয়েছি। [8] যতই কাজ থাকুক নিত্য, অন্তত দুঘন্টা বসে জপধ্যান করবে। নতুবা ঠিক থাকতে পারবে না। [9] ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এসেছিলেন, অর্জুনও এসেছিলেন। তাঁদের ভাবে সকলকে চলতে হবে। নতুন কেউ কিছু করতে পারবেনা। স্বামীজী বলেছেন, আমি যা বলেছি তার উপর দাগ বুলিয়ে যা। [10] প্রথম ব্রহ্মজ্ঞান হয় চাই। নির্বিশেষে ব্রহ্ম কে জানবার পর যখন পুনরায় মনবুদ্ধির এলাকায় আস্তে হয় তখন ব্রহ্মজ্ঞ হওয়ার পূর্বে জগৎ যেমন ছিল তেমনি প্রতিভাত হয় বটে, কিন্তু ওতে আসক্তি হয় না। [11] কেবল সদ্গুরুর অপেক্ষায় বসে না থেকে যথাসাধ্য ঈশ্বরচিন্তা, সাধুসঙ্গ ও সদ্গ্রন্থাদি পাঠ করবার চেষ্টা কোরো। স্বামী সারদানন্দের অমৃত বাণী [12] প্রাতে ও সন্ধ্যায় নির্জনে বসে ভগবানের নাম এবং সংসারের সকল বিষয়ের অনিত্যতার কথা চিন্তা কোরো। তাহলে মন ক্রমশ একাগ্র হবে।
স্বামী সারদানন্দের অমৃত বাণী কথা
[13] কর্ষিত জমি ও উত্তম বীজ এই দুইয়ের মিলনে বৃক্ষের উৎপত্তির ন্যায় গুরু ও শিষ্য উভয়ের উপযুক্ততায় ধর্মগুরু উৎপন্ন হয়। [14] জপ করতে করতে মন স্থির হয়ে ধ্যান করবার ইচ্ছা হলে তাই করবে। চঞ্চল মনকে বশীভূত করার উপায় – বৈরাগ্য ও অভ্যাস, গীতায় এ কথা বলা আছে। [15] মানুষের মন সর্বদাই বহির্মুখ, অনেক কষ্টে ও ব্যাকুল ক্রন্দনে তা অন্তর্মুখ হয়। সকলের সমন্ধেই ঐ এক কথা। কারোর জন্যই সোজা পথ হয় না। [16] দীক্ষা নিলেই মনের চাঞ্চল্য যায় না। ঈশ্বরের প্রতি অনুরাগ বেড়ে সংসারের বিষয়েকরে বৈরাগ্য যে তবে মন শান্ত হয়। সাধনার উদ্দেশ্যেই হল অভ্যাস ও চেষ্টার দ্বারা ভগবানের পাদপদ্মে মন স্থির করা। স্বামী সারদানন্দের অমৃত বাণী [17] সমস্ত মন প্রাণ দিয়ে সাধন-ভজনে লেগে যাও। জপধ্যান সম্মন্ধে যতটা সহ্য হয় ততটা করবে। সাধ্যের অতিরিক্কিত কিছু কোরো না। তবে ক্রমশ জপধ্যানের পরিমান বাড়াতে চেষ্টা করো। স্মরণ-মনন সর্বদা রাখতে চেষ্টা করবে। [18] দুর্দিন-সুদিন কোনটাই চিরস্থায়ী নয় – মনের শান্তি-অশান্তি সমন্ধেও ঐ কথা। সকল বিষয়ে সহ্য করে যত পড়ে থাকবে তত শীঘ্র জীবন গড়ে উঠবে – ঠাকুরের কৃপা তত শ্রীঘ লাভ করতে পারবে। [19] সৎসঙ্গ, সদগ্রন্থ পাঠ, এবং ভগবানে চিত্ত একাগ্র করতে অভ্যাস করা -এই সকলেই পশুবৃত্তি কমাবার একমাত্র উপায়। [20] সৎপথে ঠাকম সংসারে থাকে বা সংসারের বাইরে থাক, সর্বদা শ্রীভগবানেরই হয়ে থাক এবং তাকেই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য করে থাক। [21] যে জন্যই হোক, মিথ্যা কথা বলা বা শঠতার আশ্রয় নেওয়া ঠিক নয়। ঠাকুর বলতেন, একমাত্র সত্য কলির তপস্যা। স্বামী সারদানন্দের অমৃত বাণী [22] প্রত্যেক বালক-বালিকা নিজ নিজ অদৃষ্ঠ নিয়ে জন্মায়। সেজন্য জোর করে তাদের কোন পথে চালানো যায় না। চালালে হিতে বিপরীত হয়ে দাঁড়ায়। [23] বিবাহ কেবল পশুবৎ জীবন-যাপনের জন্য নয়। গার্হস্থ্য জীবনে যদি কেউ সমস্ত কর্তব্য পালন করে যায় এবং ভগবানের প্রীতির জন্য ঐ সকল করেছি, এই ধারণা দৃঢ়ভাবে ধরে রাখে থালে ঐ পথ দিয়েও ভগবানকে পাওয়া যায়। [24] অবতার পুরুষের দর্শন পেয়েও যাদের মনের বাসনা সম্পূর্ণ যায় না, তাঁরা অবতার পুরুষের পুনরায় আগমনকালে জন্মে ঐ সকল বাসনা পূর্ন করে তাঁর কৃপায় মুক্ত হবে। [25] ধর্মলাভ করতে এসে কোনো কোনো প্রকৃতিতে দয়ার ভাবটি এত বেশি বেড়ে উঠে যে, পরিনামে সেটিই তার বন্ধনের এবং কখনোও কখনোও ধর্মপথ থেকে ভ্রষ্ট হবার কারন হয়ে পরে।আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ এই পোস্টটি পড়ার জন্য। আমাদের এই স্বামী সারদানন্দের অমৃত বাণী গুলি ভালো লাগলে দয়াকরে প্রিয়জনদের সাথে Share করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ। Like Our Facebbok Page