Bangla Shayari –স্বামী শিবানন্দের অমৃত বাণী নমস্কার, বন্ধুরা আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমরা আজকে স্বামী শিবানন্দের 25 টি অমৃত বাণী নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। এই অমৃত বাণী কথা গুলি ভালো লাগলে বন্ধু ও প্রিয়জনদের সঙ্গে অবশ্যই Share করবেন।
স্বামী শিবানন্দের অমৃত বাণী
[1] প্রীতির সঙ্গে বারবার ভগবানের নাম করাই জপ, খুব প্রেমের সঙ্গে তাঁর নাম করবে। শ্রী শ্রী ঠাকুরই জীবন্ত জাগ্রত ভগবান – এযুগে রামকৃষ নামই মহামন্ত্র। তাই মনে মনে জপ করবে। আর খুব ব্যাকুল হয়ে প্রার্থনা করবে। [2] বিশ্বাস, ভক্তি, জ্ঞান, প্রীতি, পবিত্রতা, কর্মপরায়ণতা, বিদ্যাবুদ্ধি, ধর্মভাবাদি প্রভু তোমাদের পূর্ন করে দিন – এই ই আমার আন্তরিক প্রার্থনা তাঁর শ্রীচরণে। [3] ‘ভক্তের স্বভাব বিড়ালছানার ন্যায়’ মা যেখানে রাখে সেখাইনেই থাকে। ভালো না লাগলে ‘ম্যাও ম্যাও’ করে কেবল ডাকে, কোথাও যায় না। ভক্তের এই স্বভাব -মা যা করেন, যেখানে যে অবস্থায় রাখেন, তাই ভালো। কষ্ট হলে কেবল মা মা করে ডাকে ছাড়া সে আর কিছুই করবে না। তারপর মা যা করেন তাই ভালো। স্বামী শিবানন্দের অমৃত বাণী [4] যখন যে বিষয়ে পড়বে তা গভীর অভিনিবেশ সহকারে পড়তে হয়। এই বই সে বি পড়লে – তাতে কোন বিষয়েই ব্যুৎপত্তি হয় না, চিন্তার গভীরতাও জন্মায় না। আমরা যখন গীতা-উপনিষদ পড়তাম, তখন গীতার এক একটি শ্লোক দিনের পর দিন ধ্যান করতাম। [5] স্বামীজী এখনো এই বেলুড় মঠে বাস করছেন। আমি কতদিন তাঁকে তাঁর ঘরে গভীর ধ্যানস্থ দেখেছি, কখনো দেখেছি তিনি পায়চারি করছেন। তিনি নিজে কাঁধে করে ঠাকুরকে এখানে বসিয়েছেন। ঠাকুর যেখানে, সেখানে মা আর স্বামীজীও আছেন। আর সব পার্ষদরাও। [6] এ শরীরের এত যত্ন করছি কেন জান? এ শরীরে ভগবানলাভ হয়েছে, এ শরীরে ঠাকুরকে দেখেছি, তাঁর কত সেবা করেছি, তাঁর কত সঙ্গ করেছি। এ হাত দিয়ে তাকে স্পর্শ করেছি -তাই এত ,নইলে শরীরটা রক্তমাংসের পিন্ড বই আর তো কিছুই নয়। [7] যে সর্বতোভাবে শ্রীরামকৃষ্ণ চরণে আত্মনিবেদন করে, তিনি স্বয়ং ভগবান জীবোদ্ধারের জন্য মরদেহ ধারণা করেছেন – এ পরমতত্বে বিশ্বাসী হয়, তার আর কোনো ভয় নেই, জন্মমৃত্যুর প্রহেলিকা থেকে সে চিরমুক্ত হয়ে শ্রীরামকৃষ্ণ চরণাশ্রয় নিশ্চয় পাবে। [8] ওই বি. এ. পাশ করতে যতটা পরিশ্রম করেছ ও মনঃসংযম করবার চেষ্টা করেছ, ঐ অতটা চেষ্টা করলেই ভগবানলাভ হয়। স্বামী শিবানন্দের অমৃত বাণী [9] সকাল সকাল উঠে বেশ করে ধ্যান -জপ করে নিও, তাতে মন ভালো থাকবে। আমি তা-ই করি। ভোরবেলা ধ্যান করি, আর সারাদিন তাঁর নেশায় কেটে যায়। [10] খুব জোর করে বেশি ধ্যান জপ করতে যেও না। সহজভাবে অন্তরের সঙ্গে যতটুকু তাঁকে ডাকতে পার তাই কর। বাকি সবের জন্য তাঁর উপর নির্ভর করে থেকো। ভগবানলাভ তো জাগতিক বিদ্যার্জন করার মতো জিনিস নয়। [11] মেক কুটুক্তি করা তো ভালো নয়। তবে এটা যে দোষ, তা তুমি যখন বুঝতে পড়েছে , তখন ওটা কেটে যাবে। মনে মনে দৃঢ় সংকল করবে যে, আর কখনও এমন করবে না। আর যদি না সামলাতে পেরে ঐরকম করেই ফেল, তবে রাগ থেমে যাবার পর মেক প্রণাম করে তাঁর কাছে ক্ষমা চাইবে। বলবে – ‘মা, আমি রাগের মাথায় সামলাতে না পেরে তাঁকে কটুকথা বলেছি, আমায় ক্ষমা কর’ [12] বিধবারা ভালো। তারাই তো ধর্মটা রেখেছে। পূজার্চনা, বার-ব্রত সব তো তারাই রেখেছে। আর সধবারাও ভালো। তারাই এই মহামায়ার সংসারে জীবদের আনে।স্বামী শিবানন্দের অমৃত বাণী কথা
[13] আমি সবসময় ঠাকুরকে ভোগ নিবেদন করবার সময় ভাবি, মা প্রথমে ঠাকুরকে খাওয়াচ্ছেন, পরে নিজে ও সন্তানদের খাওয়াচ্ছেন। [14] দেহনাশে দেহীর নাশ কখনো হয় না। [15] আমি কারো গুরু নয়। কে আমার শিষ্য নয়। সব ঠাকুরের। সবাই তার সন্তান। আমি শুধু পরিচয় করিয়ে দিই। [16] মানুষের দোষ ত্রুটি যদি শুধরে দি, তাহলে কেন বেঁচে আছি। ঠাকুর এজন্যই এ শরীর রেখেছেন। স্বামী শিবানন্দের অমৃত বাণী [17] সত্য কথা বলতে ভয় করো না। তুমি তো সত্য ঘটনায় বলেছ। আমাদের সত্যের ঠাকুরই তোমাকে রক্ষা করেছেন। আমাদের ঠাকুর সব ত্যাগ করেও সত্য ত্যাগ করতে পারেননি। [18] যতদিন এ শরীর থাকে, ততদিন এই প্রার্থনা যে, ঠাকুরের ভক্ত যে যেখানেই আছে – সকলের জ্ঞান, গলটি, বিবেক, বৈরাগ্য হোক। এই একমাত্র প্রার্থনা। [19] ভক্তি ও বিশ্বাসের সঙ্গে ভগবানের নাম করাই মানুষের আধ্যাত্মিক উন্নতির শ্রেষ্ট উপায়। [20] মার্ সেবা ঠিকমতো করে যাও। তোমার সব হয়ে যাবে। শ্রী শ্রী ঠাকুর তোমার মঙ্গল করবেন। স্বামী শিবানন্দের অমৃত বাণী [21] ভুবেনশ্বর হচ্ছে একেবারে বিশ্বনাথের স্থান, ওখানে যে থাকবে সেই আনন্দ পাবে। [22] ব্যায়াম আমাদের একান্ত প্রয়োজন, এতে শরীর সবল ও সুস্থ হবে। শরীর সবল হলে মনও সবল হবে। মন সবল না হলে, শক্তি সঞ্চয় না করলে শক্তির কাছে যাবে কী করে? [23] তুমি দেখছি প্রভু হয়ে গেছ। আর সকলে চাকর -এ ভাব ত্যাগ করো। সকলেই সমান, প্রভুর সেবক। [24] দয়া কর, দয়া কর। প্রভু দয়া কর – এইটি সর্বদা বলতে হবে। এই-ই সাধন এই-ই সব। ‘দয়া করা’ তিনি যদি দয়া করে বুঝিয়ে দেন তবেই হবে। স্বামী শিবানন্দের অমৃত বাণী [25] সংসারে সুখ নেই মা। যদি থাকে তো সে অতি সামান্যই। যেমন মেঘের কোলে মাঝে মাঝে একটি বিদ্যু চমকায় তেমনি।আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ এই পোস্টটি পড়ার জন্য। আমাদের এই স্বামী শিবানন্দের অমৃত বাণী গুলি ভালো লাগলে দয়াকরে প্রিয়জনদের সাথে Share করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ। Like Our Facebbok Page