Best 25 টি স্বামী তুরীয়ানন্দের অমৃত বাণী

স্বামী তুরীয়ানন্দের অমৃত বাণী

Bangla Shayari – স্বামী তুরীয়ানন্দের অমৃত বাণী নমস্কার, বন্ধুরা আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমরা আজকে স্বামী তুরীয়ানন্দের 25 টি অমৃত বাণী নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। এই অমৃত বাণী কথা গুলি ভালো লাগলে বন্ধু ও প্রিয়জনদের সঙ্গে অবশ্যই Share করবেন।


স্বামী তুরীয়ানন্দের অমৃত বাণী


[1] প্রাণটা যত তাঁতে থাকবে, তিনিও ততই প্রাণে থাকবেন। কল্পনা পাকা হলেই সাক্ষাৎকার হয়।

[2] নিজের মধ্যে ভাব হওয়া চাই, তা নিলে কোনো ভাব বোঝা যায় না।

[3] মা ব্যতীত সবই দুঃখময়। মাতৃহীন জীবন কী কষ্টকর। তাকে পেলে জীবন মধুময় হয়।

[4] সত্যের দ্বারা উন্মুক্ত করবার চাবি হচ্ছে ধ্যান বাক্য দ্বারা নয়, অধ্যয়ন দ্বারা নয়, একমাত্র ধ্যানের দ্বারাই সত্য অনুভূত হয়। ধ্যান সহায়ে আত্মজ্ঞান লাভ করতে হয়। ধ্যানের দ্বারা মায়াজাল ছিন্ন হয়।

[5] সুখ, দুঃখ কিছুই চিরস্থায়ী নয়। এই ডায়েরী পারে যেতে হবে। তা কেবল তাঁর দিকে দৃষ্টি রাখলেই হবে। অন্য্ উপায়ে হবার নয়। স্বামী তুরীয়ানন্দের অমৃত বাণী

[6] শ্রীরামকৃষ্ণ ছিলেন গভীর ভক্তি ও ত্যাগের জীবন্ত বিগ্রহ। বৈদান্তিক সত্যের মূর্ত বিগ্রহ ছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ। তিনিই সেই আদ্যাশক্তি।

[7] জগন্নাথদেবই রামকৃষ্ণরূপে অবতীর্ন হয়েছিলেন। এইজন্যই ঠাকুর পুরীতে যেতেন না ও বলতেন পুরি গেলে শরীর ত্যাগ হবে।

[8] নিজে দুর্বল হলেও যার শরণ নিয়েছি, তিনি সর্ব্যক্তিমান। সুতরাং তাঁর বলে আপনাকে বলী মনে করবে। তিনি ভিন্ন আর কেউ নেই, এটা স্থির ধর্ণা হলে হৃদয়ে মহাবল প্রবেশলাভ করবে।

[9] যোগাভ্যাসের দ্বারা দেহকে ব্যাধিমুক্ত করা যায়। কে বলে আমি পীড়িত? তুমি বলেছ আমি অসুস্থ। আমি বলছি আমি অসুস্থ নই। আমি শরীর নই -আমি অজর আত্মা। আমি দেহ থেকে পৃথক সত্তা। স্বামী তুরীয়ানন্দের অমৃত বাণী

[10] জ্ঞানীদের পুনর্জন্ম হয় না। আর যদি পুনর্জন্ম হয়, তবে তাকে জন্ম বলতে পার না। কারন তখনও তাঁরা মুক্ত। কারন তাঁরা অনাসক্ত। মেক জানালেই আসক্তি দূর হয়। এই দুনিয়া তখন কত নগন্য মনে হয় যেন একটা মাটির ঢিপি।

[11] সাধারণ মানুষ দেহকে মনের সঙ্গে অভিন্ন বোধ মনে করে। আমি দেখি আমার মন দেহ থেকে পৃথক, সুতরাং কিরূপে দেহমনের অভিন্নতা ভাবতে পারি?

[12] আমার যা জানি তা আমাদের অন্তত একবার কার্যে প্রিন্ট করা উচিত। কিন্তু শ্রীরামকৃষ্ণ প্রত্যকেটি বিষয় তিনবার করে অভ্যাস করতেন। সাধনার দ্বারা নতুন জ্ঞানলাভ হয়। কিছু সাধন কর, রোজ অভ্যাস কর। বন্ধন ও মুক্তি দুই-ই মনে। আত্মা মনের অতীত।

স্বামী তুরীয়ানন্দের অমৃত বাণী কথা

[13] মনে করেছ, কপট ভক্তি করে শ্যামা মাকে পাবে। এ ছেলের হাতে মোয়া নয় যে, ভোগ দিয়ে কেড়ে খাবে। তিনি সব দেখছেন। তুমি কর্তা, আমি অকর্তা, তুমি যন্ত্রী, আমি যন্ত্র -এই ভাবটি ধর্ম জীবনের আদি ও অন্ত।

[14] তাঁর কাছে প্রার্থনা করবে ‘প্রভু তোমায় যেন না ভুলি। এমন কাজ দিও না যাতে তোমায় ভুলে যাই। যেখানেই রাখ তোমায় যেন মনে থাকে। ‘

[15] সকলকে আপনার করে নিতে হবে। সব আপনার হয়ে যাবে। যত তাঁর দিকে যাবে তত সরল উদার হবে। ঠাকুর সরলতার প্রতিমূর্তি। স্বামী তুরীয়ানন্দের অমৃত বাণী

[16] লোকে খালি নিজের সুবিধা খুঁজছে। সুবিধা খোঁজা শুধু এ জন্মে কেন, শত শত জন্ম করে আসছে। আর এই সুবিধা খোজ ছেড়ে দেওয়াই হল মুক্তি।

[17] ঠাকুর আমাদের শেখাতেন – সব কাজ করবে হাত দিয়ে কিন্তু মন তাঁর কাছে পরে থাকবে।

[18] ফাঁকি দেবে কাকে? আপনি ফাঁকি পড়বে? যে যত শক্তি বার করতে পারবে, সে তত পাবে ,যতটুকু দেবে ততটুকু পাবে।

[19] লোককে জব্দ করা মহা সংসারী বুদ্ধি। তুমি জব্দ করছ, কিন্তু তোমার উপর একজন আছেন। তিনি যখন তোমায় জব্দ করবেন, তখন পালাবার পথ থাকবে না। দিনে যেসব ভ্রম হয়েছে, রোজ রাত্রে তো খতাবে। তবে তো ভ্রমসংশোধন হবে।

[20] যে দিন আনে দিন খায় সে কিছু জমাতে পারে না। কিন্তু একবার কিছু জমালে তারপর হু হু করে বাড়তে থাকে। ধর্মজগতেও তাই। দিনকতক খুব খেটে জমিয়ে নাও। সদাসর্বদা খেতে শুতে বসতে তাঁর নাম জপ কর। স্বামী তুরীয়ানন্দের অমৃত বাণী

[21] কর্তব্য শেষ না করলে মুক্তি নেই, ছুটি নেই। না করে যেটা ফেলে দিয়েছ সেটা রইল, আবার আসবে। পালিয়ে বাঁচতে পারবেনা। উচ্চ অবস্থা লাভের জন্য আকাঙ্খা কর, কিন্তু উপস্থিত কর্তব্যটা অবহেলা করো না।

[22] স্বামীজী বলতেন – “যে, যে জায়গায় আছে তাকে সে জায়গায় সাহায্য কর। তার যেখানে অভাব সে জায়গাটা তার পুরিয়ে দাও। না পার জোর করে তাকে তোমার মতো করতে চেষ্টা করো না। “

[23] সর্বদা বিচার করলে বুদ্ধি খোলে। যে ব্যক্তি স্ট্যলাভের জন্য সর্বদা বিচার করে, সত্য তাকেই ধরা দিয়ে থাকেন। বিচারের খড়্গ সর্বদাই হাতের কাছে রেখে দিতে হবে।

[24] কত খাটলে লোকের একটু কল্যাণ করতে পারা যায়। অপরের অবস্থায় নিজেকে এনে ফেলে তবে তাকে ধীরে ধীরে হাতে ধরে উঠিয়ে নিয়ে যেতে হয়।

[25] খারাপ বলে কিছু বলা যায় না। যা ভগবানের দিকে নিয়ে যায়, তাই ভালো, আর যা সংসারের দিকে নিয়ে যায়, এটি খারাপ।

আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ এই পোস্টটি পড়ার জন্য। আমাদের এই স্বামী তুরীয়ানন্দের অমৃত বাণী গুলি ভালো লাগলে দয়াকরে প্রিয়জনদের সাথে Share করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ। Like Our Facebbok Page

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *